csb24.com:
ব্যস্ত জনপদে হঠাত্ বিশাল অ্যানাকোন্ডার হানা! অ্যামাজনের তীরবর্তী কোনও গভীর অরণ্য নয়, হিংস্র সরীসৃপের খোঁজ মিলল ভারতের বেঙ্গালুরুর পাকা সড়কে। দেখে আঁতকে উঠলেন পথচলতি জনতা।
বেহাল রাস্তা নিয়ে নাস্তানাবুদ বেঙ্গালুরুবাসী। প্রতি বছরের মতো বর্ষায় এবারও রাস্তা ভেঙে চুরমার। ছোট-বড় গর্তে বোঝাই সড়কে হামেশা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অগুনতি যানবাহন। তবু আগ্রহ নেই প্রশাসনের। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তর আবেদন-নিবেদনেও ফল মেলেনি। কাজ হয়নি বিক্ষোভ-ধর্নায়।
অভিনব প্রতিবাদ: রাস্তায় রাস্তায় অ্যানাকোন্ডা, কুমির
পুর নিগম ‘ব্রুহত্ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে’-র কর্তাদের টনক নড়াতে এবার অভিনব কৌশল প্রয়োগ করেছে নগরোন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারে উদ্যোগী নাগরিক সংগঠন ‘নম্মো বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন’। রাস্তার অজস্র গর্ত মেরামতের আবেদন জোরদার করতে এবার শিল্পের আশ্রয় নিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাকা সড়কের ফাটলে ভয়ঙ্কর দর্শন প্রাণীর মূর্তি বসাতে উদ্যমী হয়েছেন তাঁরা।
এমনই এক দৈত্যাকৃতি অ্যানাকোন্ডা সাপের মুর্তি সম্প্রতি বসানো হয়েছে যশবন্তপুর এলাকার রাস্তার ফাটলে। শহরের বিখ্যাত চিত্রকলা পরিষদের স্নাতক পুষ্পরাজ মাত্র ২ দিনে তৈরি করে ফেলেছেন গভীর অ্যামাজনের আতঙ্ক অ্যানাকোন্ডার মুখগহ্বর ও দেহের কিছু অংশ। তার ধারালো দাঁতের সারির ফাঁক থেকে বেরিয়ে এসেছে মানুষের রক্তাক্ত হাত। গত রবিবার যশবন্তপুর বাজারের কাছে রাস্তার গভীর গর্তে বসানো হয়েছে বিকট দর্শন মূর্তিটি। তবে মূর্তি বসানোর সময় স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের বাধায় পণ্ড হতে বসেছিল অভিনব প্রতিবাদ। শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে তাদের নিরস্ত করা হয়।
শিল্পী পুষ্পরাজ জানিয়েছেন, প্রতি বছর যশবন্তপুর-সহ বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পুর নিগমের কর্তাদের উদাসীনতায় জমা জল দীর্ঘ দিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। তাতে জন্মায় মশার ঝাঁক। শহরে ছড়িয়ে পড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মশকবাহিত রোগের জীবাণু। গত কয়েক বছর ধরে ঘটে চলা অব্যবস্থার প্রতিবাদে ও রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে রাস্তার গর্তে অ্যানাকোন্ডার মূর্তি বসানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এদিকে রাস্তায় নিত্যযাত্রীদের নজর কাড়ছে অভিনব প্রতিবাদের স্মারক। রোজ মূর্তি ঘিরে জমে উঠছে উত্সাহীদের ভিড়। প্রতিবাদীদের তাই শিল্পকর্মটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
অন্য দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বেঙ্গালুরুর গর্ত-ভর্তি পথে শুধু অ্যানাকোন্ডা কেন, চেষ্টা করলে জলহস্তী, ডাইনোসর এমনকি রহস্যময় লচনেক মনস্টারও ঠাঁই পেতে পারে বলে টিপ্পনি কাটছেন অনেকে।
তবে এতে পুর কর্তৃপক্ষের ঘুম আদৌ ভাঙবে কি না, সেই বিতর্ক থেকেই গিয়েছে।
প্রকাশিত: ১১/০৮/২০১৫ ৪:১৫ অপরাহ্ণ
আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারসহ অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে ...
পাঠকের মতামত